স্থান: হিজলা, বরিশাল
বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই ভয়াবহ নদীভাঙনের মুখে পড়েছে বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের চর দুর্গাপুর গ্রাম। প্রবল স্রোতের তোড়ে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে একাধিক দোকানপাট, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চরম ঝুঁকিতে পড়েছে চর দুর্গাপুর লঞ্চঘাট, এলাকার একমাত্র জামে মসজিদ এবং আশেপাশের দোকান ও বসত বাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে মেঘনার শাখা নদীর পানি প্রবল বেগে বইছে। এতে চর দুর্গাপুর এলাকার নদীতীরবর্তী অংশে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। এলাকার শতাধিক মানুষ বর্তমানে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, লঞ্চঘাট ভেঙে পড়ার কারণে চর দুর্গাপুর ও আশেপাশের এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নদীভাঙনের কবলে পড়া চর দুর্গাপুর জামে মসজিদটির ভিত্তিও ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি ধসে পড়তে পারে।
এলাকাবাসীদের দাবি, যদি এখনই পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে দুর্গাপুর গ্রামটি ধীরে ধীরে পুরোপুরি নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
মেমানিয়া ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, “আমাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট সব নদীতে চলে যাচ্ছে। আমরা কোথায় যাব? সরকার যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পুরো গ্রামটাই শেষ হয়ে যাবে।”
স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালেও এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাতে একটি সম্ভাবনাময় জনপদ নদীভাঙনের কবলে পড়ে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন না হয়ে যায়।
0 coment rios: