সাবহেডলাইন:
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলীয় প্রচারণা চালালে কঠোর আইনি ব্যবস্থা
সংবাদ প্রতিবেদন:
বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার ও আইনি পদক্ষেপের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
সরকারি নির্দেশনার ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ দলটির পক্ষে কোনো ধরনের অনলাইন কার্যক্রমে জড়িত থাকলে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, শুধু দেশেই নয়, প্রবাস থেকেও যারা দলটির পক্ষে সামাজিক মাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে বিদেশি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিটিআরসি ইতোমধ্যেই ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে—আওয়ামী লীগের কোনো পোস্ট, পেজ কিংবা চ্যানেল যেন সক্রিয় না থাকে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, “সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যদি ফেসবুক বা ইউটিউবে দলীয় প্রচারণা চালায়, তাহলে তা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে বিবেচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে—আইনের শাসন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
0 coment rios: